শব্দ দূষণ কাকে বলে

শব্দ দূষণ বলতে পরিবেশে অত্যধিক বা বিরক্তিকর শব্দের উপস্থিতি বোঝায় যা মানুষের স্বাস্থ্য, সুস্থতা এবং জীবনের সামগ্রিক মানের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি পরিবেশে অবাঞ্ছিত বা বিঘ্নিত শব্দের প্রবর্তনের ফলে সৃষ্ট পরিবেশগত দূষণের একটি রূপ বলে মনে করা হয়।

আবাসিক এলাকা, কর্মক্ষেত্র, পাবলিক স্পেস এবং পরিবহন ব্যবস্থা সহ বিভিন্ন সেটিংসে শব্দ দূষণ ঘটতে পারে। এটি প্রাথমিকভাবে মানুষের ক্রিয়াকলাপের কারণে ঘটে তবে প্রাকৃতিক উত্স থেকেও হতে পারে। শব্দ দূষণের সাধারণ উৎসগুলির মধ্যে রয়েছে যানবাহনের শব্দ, নির্মাণ কার্যক্রম, শিল্প যন্ত্রপাতি, বিমানবন্দর, ট্রেন, উচ্চস্বরে গান এবং সামাজিক সমাবেশ।

শব্দ দূষণের অত্যধিক এক্সপোজার শারীরিক এবং মানসিক উভয় স্বাস্থ্যের উপর বিভিন্ন ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলতে পারে। এটি বিরক্তি, চাপ, ঘুমের ব্যাঘাত, শ্রবণশক্তির ক্ষতি এবং জ্ঞানীয় বৈকল্য হতে পারে। উচ্চ মাত্রার শব্দ দূষণের সাথে দীর্ঘায়িত এক্সপোজার উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি সহ কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার সাথে যুক্ত। উপরন্তু, শব্দ দূষণ যোগাযোগ, ঘনত্ব, উৎপাদনশীলতা এবং জীবনের সামগ্রিক মান ব্যাহত করতে পারে।

মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে এবং একটি স্বাস্থ্যকর এবং আরও শান্তিপূর্ণ জীবনযাপনের পরিবেশের প্রচারের জন্য শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করা গুরুত্বপূর্ণ। শব্দ নিঃসরণ কমাতে এবং অত্যধিক শব্দ মাত্রা থেকে সংবেদনশীল এলাকা রক্ষা করার জন্য প্রবিধান, সাউন্ডপ্রুফিং ব্যবস্থা, জনসচেতনতা, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং নগর পরিকল্পনা কৌশলগুলির সমন্বয়ের মাধ্যমে এটি অর্জন করা যেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *